Posts

যৌবনের হাতছানি

   কাল রোববার। আজ থেকেই সাথী প্ল্যান করে রেখেছে কাল সারাদিন রিল্যাক্স করবে। অফিস ফেরৎ বিগ বাজার থেকে কফি, গুঁড়ো দুধ, নানাবিধ বিস্কুটের প্যাকেট, চিপ্‌স্‌, ম্যাগি ন্যুডলস্‌, রেডি-টু-কুক পালক পনীর, নানারকম সস আরো সব হাবিজাবি খাবারদাবার কিনে ঘর ভর্তি করেছে। অনেকদিন পর রোববার বাড়িতে কেউ থাকবে না আর তাকেও কোথাও যেতে হবে না। নিশ্চিন্ত। সাথীর বাড়ি বোলপুর। কলকাতায় আছে এম.এ. পড়ার সময় থেকে। তখন তো শ্যামবাজারের কাছে এক জায়গায় পেয়িং গেস্ট হয়ে ছিলো। ফলে নিয়মের মধ্যেই থাকা। রাত আটটার মধ্যে বাড়ি ফিরতে হোত। সকালে দেরী করে উঠলে আর ব্রেকফাস্ট পাওয়া যেত না। আরো নানারকম নিয়মের কড়াকড়ি ছিল। সে সব দিন এখন গেছে। সাথী এম.এ. পাশ করেছে। ভদ্রগোছের একটা চাকরিও পেয়ে গেছে। সেকটর ফাইভে অফিস। বাবা রিটায়ার করে নিউটাউনে একটা ছোট ফ্ল্যাট কিনেছেন। যদিও বোলপুরের পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে কারুরই কলকাতায় আসার ইচ্ছা নেই। তাছাড়া সাথীর মেজদিও বোলপুরে থাকে, স্কুলে পড়ায়। তার ছেলেটাও দিনের বেলা মার কাছে থাকে। তাই ফ্ল্যাটটা খালিই পড়ে ছিল। চাকরি পাওয়ার পর থেকে সাথী ঐ ফ্ল্যাটেই থাকছে। খালি ফ্ল্যাট ফেলে রাখার তো কোনো মানে নেই। ব্যাপারটা...